প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ হওয়ায় আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারও স্পষ্ট করেছে যে দলটির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বরিশালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা কারও পরামর্শে নয়, আমরা নিজেদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।”
সিইসি আরও যোগ করেন, “দায়িত্ব গ্রহণের সময় যে শপথ নিয়েছিলাম, তার আলোকে আমরা দেশবাসীকে একটি অনুকরণীয় নির্বাচন উপহার দিতে চাই। প্রশাসন ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আমি সেই বিষয়েই আলোচনা করেছি। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।”
সিইসি বলেন, এর আগে যে দুই-তিনটা নির্বাচন হয়েছে, তেমন নির্বাচন হওয়ার সুযোগ নেই। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেব আমরা। এক্ষেত্রে কোনো দল কিংবা গোষ্ঠীর কোনো চাপ অথবা বাধার সামনে মাথা নত করবে না নির্বাচন কমিশন।
সার্কিট হাউজের মতবিনিময় সভায় বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রায়হাল কাওসারসহ প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার সকালে বরিশালে আসেন সিইসি। শুক্রবার বরিশালে এলেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শনিবার। সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে বরিশাল বিভাগের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ওই দুটি বৈঠক। পরে তিনি কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে।