নিউইয়র্কে বসবাসরত রিয়েল এস্টেট এজেন্ট সারোয়ার খান বাবুর বিরুদ্ধে কণ্ঠশিল্পী প্রমি তাজকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রমি নিউইয়র্ক পুলিশের (এনওয়াইপিডি) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সারোয়ার খান বাবুকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে, জামাইকার ১৮৯-১০ হিলসাইড এভিনিউতে অবস্থিত এক্সিট রিয়েলটি অফিসে। অভিযোগের পরপরই অফিস কর্তৃপক্ষ সারোয়ার খান বাবুকে চাকরিচ্যুত করেছে। ঘটনাটি স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা–সমালোচনা।
ঘটনা সম্পর্কে কণ্ঠশিল্পী প্রমি তাজ সাংবাদিকদের জানান, তিনি এক্সিট রিয়েলটির ওই অফিসে পার্ট–টাইম কর্মী হিসেবে কাজ করেন, আর সারোয়ার খান বাবু একই অফিসে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মঙ্গলবার সারোয়ার কাজের কথা বলে তাকে নিজের রুমে ডেকে নেন।
প্রমির অভিযোগ, “আমি রুমে ঢোকার পর সারোয়ার দরজা বন্ধ করে দেন, আমার হাত ধরে টেনে কাছে টানার চেষ্টা করেন এবং চুমু দিতে উদ্যত হন। আমি প্রতিরোধ করলে তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। পরে আমি জোরে চিৎকার করে রুম থেকে বেরিয়ে আসি এবং সঙ্গে সঙ্গে অফিসের ম্যানেজারকে সব জানাই।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি জানার পর ম্যানেজার দ্রুত সারোয়ারকে চাকরিচ্যুত করেন এবং ৯১১-এ ফোন করে পুলিশ ডাকেন। তবে খবর পেয়ে পুলিশ অফিসে পৌঁছানোর আগেই সারোয়ার স্থান ত্যাগ করেন। “আমি পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, তারা বর্তমানে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে,” বলেন প্রমি।
প্রমি তাজ আরও জানান, “আমি দীর্ঘ এক যুগ ধরে নিউইয়র্কে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করছি। পাশাপাশি এনওয়াইপিডির অক্সিলারি টিমে পার্ট–টাইম চাকরি করি এবং এক্সিট রিয়েলটিতেও যুক্ত আছি। আমি চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করার সাহস না পায়।”
ঘটনার সময় নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে চেয়ার ব্যবহার করেন প্রমি, এতে তিনি হালকা আহত হন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে বুধবার তিনি বাসায় ফেরেন।
অন্যদিকে, সারোয়ার খান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। প্রমির স্বামী রায়ান তাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কেউ যেন অনর্থক মন্তব্য না করেন।