ট্রাম্প বললেন — হামাস গাজায় যদি আবার গ্যাং ও ইসরায়েলি সহযোগীদের টার্গেট করে হামলা চালায়, তাহলে তিনি হামাসকে নিশংস করে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করবেন। কাতারের আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেন, “যদি হামাস গাজায় মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়, যা চুক্তির অংশ ছিল না, তাহলে আমাদের কোনো উপায় থাকবে না।” তিনি আরও বলেন, “তাহলে আমাদের তাদের (গাজায়) ঢোকাতে হবে এবং তাদের (হামাসকে) মেরে ফেলতে হবে। এ বিষয়টির প্রতি আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ।”
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প এ হুমকিকে কিছুটা পরিমার্জন করে বলেন যে, মার্কিন বাহিনী গাজায় প্রবেশ করবে না। তিনি বলেন, “এটা আমাদের করতে হবে না। আমাদের এগোনোর প্রয়োজন পড়বে না। খুব কাছাকাছি—কিছু গ্রুপ আছে যারা গিয়ে কাজটি করবে এবং তারা সহজেই তা করবে, কিন্তু আমাদের নজরদারির আওতায়।”
ট্রাম্পের এই কড়া মন্তব্যগুলো পূর্বের মন্তব্যের সঙ্গে একটু ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখা হচ্ছে। সপ্তাহের শুরুতে তিনি গাজায় হামাস কর্তৃক ‘অপরাধী গ্যাং’ দমনকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “তারা কিছু ভয়ংকর গ্যাং তুলে নিয়েছে… তাদের নির্মূল করেছে এবং বেশ কিছু গ্যাং সদস্যকে মেরে ফেলেছে। তা আমাকে বেশ কষ্ট দেয়নি, সত্যিই বলছি। তা ঠিক আছে।”
গাজায় হামাস ও সশস্ত্র গোপন গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। এই গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে গাজায় মানবিক সহায়তা লুটপাট এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতার অভিযোগ আছে।
গত রোববারের সংঘর্ষের পরে গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অংশ নেয়নি এমন গ্যাং সদস্যদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। এর আগে, গত জুন মাসে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা স্বীকার করেছিলেন যে তাঁরা গাজার কিছু গ্যাংকে অস্ত্র দিয়েছে, আবার কিছু গ্যাংয়ের সঙ্গে আইএসআইএসের (আইএসআইএল) সংযোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়, যাতে হামাসকে অস্থিতিশীল করা যায়। গত রোববার, ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত একটি গ্যাংয়ের গুলিতে গাজার প্রভাবশালী সাংবাদিক সালেহ আলজাফারাওয়ি নিহত হন।
তবে গাজার গ্যাংগুলোই শুধু ট্রাম্পের হামাসকে হুমকি না দেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার আওতায় হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং গাজার শাসনে যেকোনো ভূমিকা ছেড়ে দিতে হবে। তবে এটা স্পষ্ট নয় যে হামাস এই শর্তগুলো মেনে নিয়েছে কি না।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আরও সতর্ক করে বলেছেন, হামাস যদি স্বেচ্ছায় অস্ত্র ছেড়ে না দেয়, তাহলে তাদের জোর করে অস্ত্রমুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ‘তারা অস্ত্র ত্যাগ করবে, আর যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা তাদের অস্ত্রমুক্ত করে দেব এবং সেটা দ্রুত এবং হয়তো হিংস্রভাবে ঘটবে।’