ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা লড়ছে—এমন দাবি তুলেছে পশ্চিমা দেশগুলো। একই সঙ্গে তারা বলছে, চীনও এই যুদ্ধে রাশিয়াকে গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে। এবার সেই অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের অভিযোগ, বেইজিং থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছে। দেশটির বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ওলেহ আলেকসান্ড্রোভ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইউক্রিনফোকে জানান, চীন রাশিয়াকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টার্গেট সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করছে।
এই অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “রাশিয়ার নিজস্ব মহাকাশ প্রযুক্তি ও বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, চীন ইউক্রেনবিরোধী মিসাইল হামলার জন্য রাশিয়াকে তথ্য দিচ্ছে—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাশিয়ার নিজস্ব শক্তিতেই যুদ্ধক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ ও হামলা পরিচালনা করার সক্ষমতা আছে।
গত মাসে চীন সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কঠোর এক বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে যদি ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে না আসে তাহলে অস্ত্রের ভাষা ব্যবহার করেই এ যুদ্ধ শেষ করতে হবে।
রয়টার্সের খবরে তখন পুতিনের ভাষণ পুরোটা প্রচার করা হয়। তাতে তিনি বলেন, যদি স্বাভাবিক জ্ঞান থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধ করার সুযোগ রয়েছে। আর এটি না হলে তাহলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এককভাবে এই যুদ্ধ বন্ধ করবে মস্কো। গত ৩ সেপ্টেম্বর পুতিনের এ কথায় বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়।
বেইজিং সফরে চীনের সঙ্গে নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য চুক্তির করার পর পুতিন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ইউরোপে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে তাতে তিনি টানেলের শেষ সীমান্তে একটি আলো দেখতে পাচ্ছেন। চীনে গিয়ে পুতিনের শক্ত ঘোষণার পর নানা গুঞ্জন ছড়ায়। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ তেল বিক্রিতে চীনের সহায়তার অভিযোগও পুরোনো।