নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) এনসিপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় তিনি এই তথ্য জানান।
ভিডিওবার্তা থেকে জানা যায়, সকাল ১১টায় (বাংলাদেশ সময়) এয়ারপোর্টের কাছে পোর্ট অথোরিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থানায় আখতার হোসেন মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামও উল্লেখ রয়েছে।
আখতার হোসেনের অভিযোগ, হামলার পরও অভিযুক্তরা এয়ারপোর্টের লবি ও অন্যান্য স্থানে নানাভাবে হেনস্থা চালানোর চেষ্টা করছে।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, “আমরা ইউএস পুলিশের কাছে জানিয়েছি, এ ঘটনায় জড়িতরা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এই সংগঠন গত বছর বাংলাদেশে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জাতিসংঘের রিপোর্টও তাদের অবহিত করেছি।”
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দেশে হোক বা দেশের বাইরে- যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার নেব। আমরা বিশ্বাস করি, তারা যে অপরাধ করেছে সেগুলোর আইনগত নিষ্পত্তি সম্ভব এবং আওয়ামী লীগ তার সন্ত্রাস নিয়ে বাংলাদেশে আর ফিরে আসার সুযোগ পাবে না।’
এর আগে, স্থানীয় সময় ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নিউইয়র্ক থেকে এক ভিডিও বার্তায় আখতার হোসেন বলেছিলেন, শেখ হাসিনার গুলি-বুলেটকে বিন্দুমাত্র ভয় পাইনি, ভাঙা ডিমে কিছুই আসে যায় না।
চলতি মাসের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে আখতারের।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ অধিবেধনে উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটসের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় দুপুরে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কিছুটা দেরিতে বিমানবন্দর থেকে বের হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির; এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এবং কয়েকজন বিএনপির কর্মী তাদের নিরাপত্তা দিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়েন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী। পরে দেশটির পুলিশের সহযোগিতায় গাড়িযোগে বিমানবন্দর এলাকা ছাড়েন তারা।