তীব্র রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ পেরিয়ে অবশেষে এক অনুষ্ঠানে হাত মিলিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাবেক ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং কোটিপতি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক।
ঘটনাটি ঘটে অ্যারিজোনায় আয়োজিত ডানপন্থী কর্মী চার্লি কার্কের স্মরণসভায়। সেখানেই ট্রাম্প ও মাস্কের একান্ত আলাপ এবং করমর্দনের দৃশ্য রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা ছড়িয়েছে—তাদের সম্পর্ক কি আবারও ঘনিষ্ঠ হতে যাচ্ছে?
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে স্টেডিয়ামে আয়োজিত ওই স্মরণসভায় ট্রাম্প কিছুক্ষণ মাস্কের সঙ্গে কথা বলেন ও হাত মেলান।
উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গুলি করে হত্যা করা হয় চার্লি কার্ককে।
ট্রাম্পের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে মাস্ক প্রায় ২৭০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা করেছিলেন। নির্বাচনের পর তিনি ট্রাম্পের নেতৃত্বে গঠিত “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা পরিচালনা করেন, যা সরকারি চাকরিজীবীদের হাজারো পদ বিলুপ্ত করেছিল।
তবে পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসের বড় কর ও ব্যয়ের বিলকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মাস্ক প্রকাশ্যে সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পকে সমালোচনা করেন এবং এমনকি “এপস্টেইন ফাইলস”-এ ট্রাম্পের নাম থাকার অভিযোগও তোলেন। ট্রাম্পও পাল্টা মন্তব্যে ইঙ্গিত দেন, মাস্ককে রাজনীতি থেকে “বহিষ্কার” করার বিষয়টি তিনি ভাবছেন।
পরবর্তীতে মাস্ক ঘোষণা দেন নতুন রাজনৈতিক দল “আমেরিকা ফার্স্ট পার্টি” গঠনের, যদিও এখনো এর কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
স্মরণসভা থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে তোলা একটি ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম “X”-এ পোস্ট করে মাস্ক লিখেছেন, “For Charlie.“ তবে রোববারের এই সাক্ষাৎ তাদের বিরোধের পর প্রথম মুখোমুখি বৈঠক ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।