মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মানহানি ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে মামলা করেছেন। এর আগে তিনি পত্রিকাটির জেফ্রি এপস্টিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি “দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে ও অধঃপতিত পত্রিকার” বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা দায়ের করেছেন। খবরটি প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক টাইমস দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে এবং ডেমোক্র্যাটদের পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করাকে তিনি প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন।
মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় ট্রাম্প এপস্টিনকে তার ৫০তম জন্মদিনে অশালীন বার্তা পাঠিয়েছিলেন। ওই নোটে এক নারীর শরীরের অঙ্কনও ছিল, যা “ডোনাল্ড” নামে সই করা। এছাড়া এপস্টিনকে দেওয়া একটি বড় আকারের চেকের ছবিও ফাঁস হয়, যাতে সই ছিল “ডিজেট্রাম্প” নামে।
তবে ট্রাম্প এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নোটটির লেখা ও স্বাক্ষর তার নয়।
ওই তথাকথিত “বার্থডে বুক”-এ এপস্টিনের জন্য ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী পিটার ম্যান্ডেলসনের পাঠানো বার্তিও উল্লেখ ছিল। এপস্টিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রকাশিত হওয়ায় ম্যান্ডেলসনকে যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, এপস্টিনের সঙ্গে তার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল না, যদিও তারা এক সময় বন্ধু ছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের মুখপাত্রের মন্তব্য, “আমাদের সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, দৃশ্যমান প্রমাণ প্রকাশ করেছেন এবং প্রেসিডেন্টের অস্বীকৃতিও তুলে ধরেছেন। আমরা সত্য অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাব এবং সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় অটল থাকব।”