গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে মধ্যস্থতাকারী কাতারের প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আর কোনও হামলার নির্দেশ দেবেন না। এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল সোমবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প বলেন, “নেতানিয়াহু আর কাতারে হামলার নির্দেশ দেবেন না। কাতার আমাদের খুবই ভালো মিত্র এবং অনেকেই এটি জানে না, কিন্তু তিনি (নেতানিয়াহু) ভবিষ্যতে কখনও কাতারে হামলা করার নির্দেশ দেবেন না। এখন থেকে তিনি কাতারের সঙ্গে মিলেমিশে চলবেন।”
ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ৮ সেপ্টেম্বর কাতারের দোহায় এক অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলা চালায়, যা হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিত ছিল। হামলার মূল লক্ষ্য ছিলেন হামাসের বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী খলিল আল হায়া এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা।
প্রায় ১৫ মিনিটের ওই অভিযানে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ জনসহ মোট ৬ জন নিহত হন। তবে খলিল আল হায়া এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য উচ্চপদস্থ সদস্যরা বেঁচে যান। হামলায় মৃত্যু এবং ক্ষতির ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের কড়া নিন্দা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এক ব্রিফিংয়ে জানান, কাতারকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে লিভিট বলেছিলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ হামলার ব্যাপারে আগে জানিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি শান্তি স্থাপন করতে চান এবং তা শিগগিরই চান। তাই আমাদের কাছে আগে থেকেই এ হামলার খবর ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে আসন্ন হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও দোহাকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
তবে সোমবার ওভাল অফিসে এক্সিওসের এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, “না, তারা আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আপনি হামলার তথ্য যেভাবে পেয়েছেন, আমিও ঠিক সেভাবেই পেয়েছি।”