বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধির পদত্যাগ প্রয়োজন।
একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে আমরা আগেই বলেছি, তারা উপদেষ্টা পরিষদে থাকতে পারবেন না। ড. ইউনূসের উচিত নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তাদের চলে যেতে বলা। তা না হলে প্রশ্ন উঠবেই।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পর অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটে গেলেও বিভিন্ন মহলে মতবিরোধ বাড়ায় ভোট নিয়ে সংশয় আরও গভীর হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান জাতীয় ঐক্যকে সংকটে ফেলেছে। একই সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের গোপন তৎপরতা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা তৈরি করছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তিনি সতর্ক করে বলেন, সংকট আরও গভীর হলে পুরো জাতি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, যেখান থেকে বেরিয়ে আসা হবে কঠিন।
ভারতে বসে আওয়ামী লীগের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে এসছে। তার (শেখ হাসিনা) পক্ষে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু এটাকে প্রতিরোধ করা হবে যখন দলটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে যেসব কথাবর্তা বলছে, এগুলো আওয়ামী লীগের জন্য চরম ক্ষতিকর হচ্ছে। তিনি যদি ক্ষমা চেয়ে বরং বলতো আমরা ভুল করেছি এবং কিছু ভালো লোকজন সামনে এগিয়ে দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করতো তাহলে ভালো হতো।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপরই পূর্ণ আস্থা রাখতে চান।