কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, গতকাল রাতে আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে। কারা করেছে, তা আমরা জানি না। প্রায় ১০–১২ জন এসে ঢিল ছুড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমি এ ঘটনায় মামলা করবো। কোটা বিরোধী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর আমরা এ ধরনের স্বৈরাচারী আচরণ আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরশাসকের ভূমিকা নেয়, তবে আজকের এই কর্মকাণ্ডকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবো? শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি ২৬ বছর ধরে দিনরাত সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের অনেক কর্মসূচি আয়োজন করতে দেয়নি। তারপরও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে দেখানো হয়, তবে আমি এটিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ ও ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে একটি ষড়যন্ত্র হিসেবেই মনে করবো।
শনিবার দুপুরে কাদের সিদ্দিকী নিজ বাসভবনে তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমার বাড়ি ভেঙেছে আরো ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নাম্বার বাড়িতে যখন গিয়েছিলাম, তখন আমার গাড়ি ভেঙেছিলো। আরো ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সব সময়ই রাজি আছি।
তিনি বলেন, দালালদের হুশিয়ার করেছে তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা জীবনে দালাল ছিলাম না, দালালি করিনি। আমার কাছে মনে হয় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। আমার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে সাধারণ গরীব দু:খী মানুষ নিরাপদ কেমন করে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।