চাঁদাবাজি, দখলদারি ও দুর্নীতিসহ সব ধরনের অনিয়মের প্রতিবাদে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়।
প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লংমার্চে এনসিপি নেতাকর্মীরা ছাড়াও কয়েকটি পিকআপসহ ৫ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে পাঁচ উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী, এনসিপি ও জাতীয় নাগরিক যুব শক্তির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
লংমার্চটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা, তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর, ভজনপুর, বুড়াবুড়ি, শালবাহান, তেঁতুলিয়া ও তিরনইহাট ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়। পথে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় প্রথম পথসভা এবং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে দ্বিতীয় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পথসভায় বক্তব্য দেন সারজিস আলম। এছাড়াও রাতে লংমার্চটি পঞ্চগড়ে ফিরে জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছানোর পর সমাপনী বক্তব্য দেবেন সারজিস আলম।
দুপুরে পঞ্চগড় শহর পার হওয়ার সময় পিকআপের ওপর থেকে সারজিস আলম নিজেই মাইকে স্লোগান দেন। তার নেতৃত্বে অংশগ্রহণকারীরা ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, পঞ্চগড়ে হবে না’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা পঞ্চগড়ে হবে না’, ‘মাদকের ঠিকানা পঞ্চগড়ে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
লংমার্চে উপস্থিত নেতাকর্মীদের হাতে বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন দেখা যায়। এসব প্ল্যাকার্ডে পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি, এবং পুলিশের কার্যক্রমকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার আহ্বানসহ নানা দাবি উত্থাপিত হয়।
এর আগে শুক্রবার সারজিস আলম নিজের ফেসবুক ভিডিও বার্তায় এনসিপি আয়োজিত চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও অন্যান্য অপকর্মের বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ের এই লংমার্চে বিভিন্ন পেশার মানুষদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।