ইরানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ২১টি প্রতিষ্ঠান ও ১৭ জন ব্যক্তির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এ ঘোষণা দেয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইরানের এয়ারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ অর্গানাইজেশন এবং শহিদ বাকেরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত একটি নেটওয়ার্ক অভ্যন্তরীণভাবে সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহে সক্রিয়। এই গ্রুপই ইরানের শক্তিচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করে।
অন্যদিকে, ইরান, হংকং ও চীনে সক্রিয় আরেকটি নেটওয়ার্ক মার্কিন তৈরি ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে শিরাজ ইলেকট্রনিকস ইন্ডাস্ট্রিজকে। প্রতিষ্ঠানটি রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম উৎপাদন করে।
এছাড়া ইরান, জার্মানি, তুরস্ক, পর্তুগাল ও উরুগুয়েতে বিস্তৃত আরেকটি নেটওয়ার্ক ইরানের হেলিকপ্টার সাপোর্ট অ্যান্ড রিনিউয়াল কোম্পানির জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছে। এই প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের ব্যবহৃত হেলিকপ্টার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে।
ওএফএসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আওতাধীন এলাকায় উল্লিখিত সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিকরা তাদের সঙ্গে কোনো লেনদেন করতে পারবে না। বিদেশি ব্যাংকগুলোও তালিকাভুক্তদের সঙ্গে বড় ধরনের লেনদেন করলে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে।
এ পদক্ষেপ জাতিসংঘের ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া স্ন্যাপব্যাকের পর ট্রাম্প প্রশাসনের এটি প্রথম নিষেধাজ্ঞা।