ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মধ্যে ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
ফোনালাপ ফাঁসে জানা যায়, বিভিন্ন সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগের দায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ওপর চাপানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ২৪ জুলাই শেখ হাসিনা ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর মধ্যে এ কথোপকথন হয়। পাঠকদের জন্য আলাপচারিতার অংশ তুলে ধরা হলো—
ফোনালাপে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, “জ্বালানি বিল নিয়ে আর কোনো সমস্যা নাই। একদিনেই কাভার করে ফেলেছি ২৪ লাখ।”
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “২৪ লাখ! তাহলে এটা নিউজ করো।”
উত্তরে বিপু জানান, “করছি তো। সকাল থেকে সব সাংবাদিককে নিয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘুরছি।”
হাসিনা বলেন, “কোথায়? একবারও তো ক্যামেরায় দেখলাম না।”
তখন বিপু বলেন, “আরে দেখাবেন কীভাবে! কালকে আমি জোর করে বললাম—এত ছবি তুললেন, একটা-ও তো দেখালেন না।”
হাসিনা বলেন, আমি যা বলি শুনো, থোরাসা হাদিয়া দে দো।
বিপু বলেন, হু ঠিকাছে। ওইটা আমি মাথায় রাখছি। আজকে ডাইকা আমি বলছি। হইছে কি আমি বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কথা যেটা বলছি ওইটা কাইটা দিয়ে বাকি কথা রাখতেছে।
উত্তরে হাসিনা বলেন, কাটলে বলবা তোদের বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেব।
ফোনে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, শিবির আর ছাত্রদল মিলেই যে (অগ্নিসংযোগ) করছে, মানে বিএনপি-জামায়াত যে করছে, এটা বারবার বলতে হবে, লিখতে হবে। আর বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করো। কারণ বিদেশে খবর যাচ্ছে ছাত্রলীগ এসব করছে। ছাত্রলীগ তো মাইর খেয়ে বের হয়ে চলে আসছে। তাদের তো কিচ্ছু নাই, কাপড়চোপড় নাই। বলে, আপা আমরা এক কাপড়ে।