বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, জামায়াতে ইসলামী আসলে আওয়ামী লীগের সঙ্গেই কাজ করছে। বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “অনেকে যখন ফ্যাসিস্টদের প্রত্যাবর্তনের চিন্তা করছেন, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছেন—তারা কি ইতিহাস থেকে কোনো শিক্ষা নেননি? আমাদের দেশে ইসলামপন্থি একটি দল সবসময়ই মনে হয়েছে আওয়ামী লীগকে খুশি করার জন্য কাজ করছে। অথচ শহীদ জিয়াউর রহমানই তাদের নিষিদ্ধ অবস্থা থেকে বের করে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াত এখন আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছে। ছিয়াশি সালের নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছিল। মানুষকে এক ধরনের প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যত করেছে ভিন্ন কিছু। পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করেছিল, সেই জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনেও জামায়াত তাদের পাশে থেকেছে।”
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ওই সময়ে তারা হত্যাও করেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র টিটোকে শিবির (ইসলামী ছাত্র শিবির) গুলি করে হত্যা করেছিল ১৯৯৫-৯৬ সালে যে আন্দোলন হয়েছিল.. এটা তো কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে যাওয়া… ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যেতে চাননি…তাদেরই নেতারা বাধ্য করেছিল, না হলে তারা স্বতন্ত্রভাবে করবে। এখন আবার তারা স্বরূপে বেরিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাচ্ছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাচ্ছেন। কিন্তু এটাও আমাদের মনে রাখতে হবে এ দেশটি শেখ হাসিনার মতো রক্ত পিপাসু দানবকে প্রশ্রয় দিয়েছে নিজ দেশের মানুষকে হত্যা করার জন্য।”
এই নেতা বলেন, ‘কখনোই কোনো রক্ত পিপাসু, গণতন্ত্র ধ্বংসকারী এবং নিজের দেশের যে হত্যা করে ক্ষমতাকে চিরতরে আখড়ে রাখার যার ভাসনা ছিল এরকম বাংলাদেশি মডেলে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন শেখ হাসিনা সেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান বা পুনর্জাগরণের কোনো সুযোগ বাংলাদেশে নাই।’