পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ নিয়ে ভারতেরও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এসেছে।
১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, নয়াদিল্লি আশা করে রিয়াদ তাদের পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীল বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। তিনি এ সময় সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের বিদ্যমান কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকটিও তুলে ধরেন।
চুক্তিকে ঘিরে ভারতের অবস্থান জানাতে গিয়ে জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার একটি কৌশলগত চুক্তি সইয়ের খবর দেখেছি। এ ধরনের চুক্তির প্রভাব জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক শান্তির ওপর কীভাবে পড়তে পারে, সেটি আমরা বিবেচনা করব।”
এর আগে, গত বুধবার রিয়াদ ও ইসলামাবাদের মধ্যে এই প্রতিরক্ষা চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়। এতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যেকোনো একটির ওপর আক্রমণকে ‘আগ্রাসন’ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং উভয় দেশ মিলে এর মোকাবিলা করবে।
চুক্তিটি এমন এক সময়ে সম্পন্ন হলো, যখন কাতারে হামাস নেতৃত্বের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। দীর্ঘ আট দশক ধরে চলমান সৌদি-পাকিস্তান অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নতুন মাত্রা যোগ করল।