বাংলাদেশি আংকেল-আন্টিরা আমার বিজয়ের প্রকৃত সারথী। তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন না পেলে এত দূর আসা আমার জন্য কঠিন হতো। আমরা এখন জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। ইনশাল্লাহ, আগামী ৪ নভেম্বর বাংলাদেশি কমিউনিটি বিজয়ের আনন্দে ভাসবে।
এমন মন্তব্য করেছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানি। তিনি এ কথা বলেন বাংলা মিডিয়া টাইম টিভি ও বাংলা পত্রিকা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানরের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠান দুটির সিইও আবু তাহের।
দুই দিনের এই উৎসবে ছিল সেমিনার, শুভেচ্ছা বিনিময়, অ্যাওয়ার্ড প্রদান, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও নৈশভোজ। এতে যোগ দেন মূলধারার রাজনীতিবিদ, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। কীনোট স্পিকার ছিলেন সিটি কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ।
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মনির হোসেন, ডা. জিয়া উদ্দীন আহমেদ, আতাউর রহমান সেলিম, ডা. ওয়াদুদ ভূইয়া, আহসান হাবীব, কাজী ফৌজিয়া হাসান ফেরদৌস, মেরী জোবায়দা, সাবেক লেফটেন্যান্ট শামসুল হক, ড. নকিবুর রহমান, আরমান চৌধুরী সিপিএ, আলহাজ সোলায়মান ভূইয়া, মাহতাব খান, আহাদ আলী সিপিএ, নাসির খান পল, ব্যার্নার শেল, মোহাম্মদ জাবেদ উদ্দিন, তোফায়েল চৌধুরী, ড. ইমরুল কবীর, ডা. বর্ণালী হাসান, নজরুল ইসলাম, কাজী হেলাল আহমেদ ও কল্লোল আহমেদ।
সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কালা মিয়া, শিমুল খান, করিম হাওলাদার, ত্রিনিয়া হাসান ও শাহ মাহবুব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দ আল আমীন রাসেল, তামান্না মৌ, সোনিয়া শারমিন, সাদিয়া খন্দকার ও দিমা নেফারতিতি।
অনুষ্ঠানে বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মাহবুবুর রহমানকে আজীবন সম্মাননা এবং সৈয়দ ইলিয়াস খসরুকে টাইম টেলিভিশনের ‘বেস্ট টিম মেম্বার’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
মূল বক্তব্যে জোহরান মামদানি বলেন, “টাইম টেলিভিশন শুধু কমিউনিটির জন্য নয়, বরং মূলধারার আমেরিকান রাজনীতিতেও একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে। আমার নির্বাচনে বাংলাদেশি আংকেল-আন্টি, ব্রাদার-সিস্টার সকলে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন। আগামী দিনেও যদি সবাই একসঙ্গে পাশে থাকেন, তাহলে এই জয় আমাদের সবার হবে।”