তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, নির্বাচন-পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী প্রতিটি পর্বে সাংবাদিকদের সতর্কতা, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করেন, এভাবে কাজ করতে পারলে গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, তা দূর হবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তথ্য ভবনে ডিএফপির সভাকক্ষে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের সময় তথ্যের অবাধ প্রবাহ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে কী ঘটছে, কী ধরনের দুর্নীতি ও সহিংসতা হচ্ছে, সবকিছু জনগণকে জানাতে হবে। ইতঃপূর্বে নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের ওপর বাধা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমের ওপর কোনো বাধা থাকবে না।
মাহফুজ আলম বলেন, এবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তরুণ ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও ভোট দেবেন। কোন রাজনৈতিক দল কী ভূমিকা পালন করছে, তা প্রবাসীদের নিকট পৌঁছাতে গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। গণমাধ্যমকেও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কোনো অসংগতিপূর্ণ বিধি-নিষেধ থাকলে তা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রে সংবাদ কাভারেজের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধ সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের কার্ডের যেন কোনো অপব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিকরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রকাশক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামূল কবীর।