নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস অবশেষে আসন্ন মেয়র নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক চাপ ও তীব্র সমালোচনার মধ্যেই রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
নির্বাচনী লড়াইয়ে শুরু থেকেই পিছিয়ে ছিলেন অ্যাডামস। সর্বশেষ জরিপে তিনি চতুর্থ স্থানে ছিলেন—শীর্ষে ছিলেন সোশ্যালিস্ট প্রার্থী জোহরান মামদানি, এরপর প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।
ভিডিওবার্তায় অ্যাডামস বলেন, “আপনাদের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের বহু সাফল্য আছে, তবে আমি বুঝতে পারছি এই প্রচারণা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
যদিও তিনি সরাসরি কারও প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেননি, তবে মামদানি ও ক্যুমোকে ইঙ্গিত করে সতর্ক করে দেন। তার ভাষায়, স্থানীয় সরকার যেন কোনো চরমপন্থী মতাদর্শের আশ্রয়স্থল না হয় এবং ভোটাররা যেন flip-flop করা রাজনীতিবিদদের সমর্থন না করেন।
অ্যাডামস আরও যোগ করেন, “আমার প্রচারণা শেষ হলেও জনসেবার পথ থেমে যাচ্ছে না। আমি একজন নিউইয়র্কার, শহরের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”
অ্যাডামসের বিরুদ্ধে আনা ফেডারেল দুর্নীতির মামলা ট্রাম্প প্রশাসন বাতিল করলেও তার ভাবমূর্তি নিয়ে সংশয় কাটেনি। ট্রাম্প প্রশাসনে তাকে অ্যাম্বাসেডর পদে নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস ও রিপাবলিকান কৌশলবিদরা চেয়েছিলেন অন্তত একজন প্রার্থী সরে দাঁড়াক, যাতে মামদানির জয়ের পথ কঠিন হয়। জরিপে দেখা গেছে, মামদানিকে হারানোর ক্ষেত্রে একমাত্র ক্যুমোই তুলনামূলকভাবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়া দৌড়ে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
যদিও অ্যাডামস প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, নভেম্বরের ব্যালটে তার নাম থাকছে। একইভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিম ওয়ালডেনও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন তাদের ভোটের সম্ভাবনা ছিল অত্যন্ত সীমিত।