বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিশ্বের বড় কয়েকটি বিমানবন্দরে সাম্প্রতিক সাইবার হামলার পর দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে।
গত মাসে বেবিচকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সাইবার হামলার ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে এটি কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশের বিমানবন্দরগুলোকে ১০টি বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেবিচকের পরিকল্পনা ও পরিচালনা বিভাগের সদস্য এয়ার কমডোর আবু সাঈদ মেহবুব খানের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনাপত্রটি দেশের সব বিমানবন্দর প্রধান ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাইবার হামলার ঘটনা বিবেচনা করে বাংলাদেশে বিমান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ জন্য ১০টি বিশেষ নির্দেশনা প্রণীত হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, সন্দেহজনক ই-মেইল ও লিংক থেকে বিরত থাকা, সফটওয়্যার ও অ্যান্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট রাখা, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, অফিসিয়াল ডিভাইসে ব্যক্তিগত অ্যাপ ইনস্টল না করা এবং মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) ব্যবহার।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো সাইবার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে বেবিচকের সিএএবি সার্ট টিম, আইটি বিভাগ এবং জাতীয় সাইবার ইন্সিডেন্ট রেসপন্স টিমকে অবহিত করতে হবে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাইবার হামলার ঝুঁকি ও প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়, লন্ডনের কয়েকটি বিমানবন্দরে হামলার পর ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করতে হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও আগাম সতর্কতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এছাড়া, বেবিচকের ওয়েবসাইট সম্প্রতি সাইবার হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচিত হয়েছে। জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি বেবিচকের সাইবার ঝুঁকি মূল্যায়ন করে দ্রুত একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে।