থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য তিনি আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জমা দিয়েছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতাসীন ফিই থাই পার্টির এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল পিপলস পার্টি সমর্থন দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
আজ বুধবার ক্ষমতাসীন ফিউ থাই পার্টির মহাসচিব সোরাওং থিয়েনথং জানিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এখন শুধু রাজার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা।
সম্প্রতি নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
এরপর থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি, পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য ফিউ থাই পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী ভুমজাইথাই পার্টিকে সমর্থন দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
পেতংতার্নকে অপসারণের পর, ফিউ থাই তার ভঙ্গুর জোট সরকারের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে। তবে আইনসভায় তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার মতো আসনসংখ্যা নেই। জোটকে টিকিয়ে রাখাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পিপলস পার্টির নেতা নাথাফং রুয়েংপানিয়াউত সাংবাদিকদের বলেন, তার দলের ১৪৩ জন আইনপ্রণেতা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ভুমজাইথাই নেতা আনুতিন চার্নভিরাকুলকে সমর্থন দিতে রাজি হয়েছেন।
নাথাফং বলেন, আনুতিনের প্রতি তার দলের সমর্থনের কারণে সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরফলে চার মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংসদে শুক্রবারের মধ্যেই ভোট হতে পারে।