বাংলাদেশি আমেরিকান শাফায়েত আহমেদ জর্জিয়ার ডুলুথ সিটি কাউন্সিলের পোস্ট–১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে জর্জিয়ায় এবং গত চার বছর ধরে ডুলুথে বসবাসরত শাফায়েত নির্বাচিত হলে শিক্ষা উন্নয়ন, বাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি এবং গুইনেট কাউন্টির অন্যতম অতিথিপরায়ণ শহর হিসেবে ডুলুথের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
শাফায়েত আহমেদ বলেন, “আমি চাই ডুলুথকে প্রতিবেশী শহর সুয়ানি ও জনস ক্রিকের সমান বা তার চেয়েও এগিয়ে নিয়ে যেতে—বিশেষ করে শিক্ষা মান ও হোম ওনারশিপের ক্ষেত্রে। এখানে আরও উন্নতির সুযোগ আছে, আর আমি বিশ্বাস করি আমরা একসঙ্গে সেটি অর্জন করতে পারব।”
জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পেরিমিটার কলেজ থেকে স্নাতক শাফায়েত বর্তমানে একজন সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। তিনি ডুলুথের জোনিং বোর্ড অব অ্যাপিলসের সদস্য, এলইএডি সিভিক এনগেজমেন্ট প্রোগ্রামের স্নাতক এবং ডুলুথ ফল ফেস্টিভ্যালে নিয়মিত স্বেচ্ছাসেবক। তাঁর বিশ্বাস, “সবার কথা শোনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় প্রকৃত নেতৃত্ব।”
নির্বাচিত হলে তিনি গুইনেট কাউন্টি বোর্ড অব এডুকেশনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সম্পদ বাড়াতে চান। পাশাপাশি জননিরাপত্তা জোরদারে বিনিয়োগ বাড়ানোও তাঁর অগ্রাধিকার—যার মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়োগ ও নিরাপত্তা ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে নিরাপত্তার মানদণ্ডে ডুলুথ জর্জিয়ার নবম স্থানে রয়েছে।
শাফায়েতের প্রচারণার অন্যতম মূল প্রতিশ্রুতি হলো বাড়ির মালিকানা বৃদ্ধি। বর্তমানে ডুলুথে হোম ওনারশিপের হার ৫২ শতাংশ, যেখানে জনস ক্রিক ও সুয়ানিতে তা ৮০ শতাংশেরও বেশি। তাঁর মতে, “বাসিন্দাদের বাড়ির মালিক হতে উৎসাহিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদে এখানে স্থায়ী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করাই সম্প্রদায়ের স্থিতিশীলতার মূল চাবিকাঠি।”
এছাড়া তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে শহরের ডাউনটাউন এলাকাকে পুনরুজ্জীবিত করা, ক্ষুদ্র ব্যবসার জন্য নতুন প্রণোদনা চালু করা এবং পার্ক ও বিনোদন সুবিধার উন্নয়ন।
বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া ও ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা শাফায়েত বলেন, “আমার ব্যক্তিগত যাত্রা আমাকে ডুলুথের সম্ভাবনায় গভীরভাবে বিশ্বাসী করেছে। বৈচিত্র্য, আন্তরিক পাড়া-প্রতিবেশী সম্পর্ক ও ছোট শহরের আকর্ষণ—এসবই আমাদের পরিবারকে এখানে স্থায়ী করেছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ডুলুথ এমন এক শহর যেখানে সম্প্রদায়, সুযোগ ও সামর্থ্যের সুন্দর ভারসাম্য আছে। সঠিক নেতৃত্ব পেলে এই শহর আরও উন্নত হতে পারে—নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও উষ্ণতা হারিয়ে না ফেলে।”