নিউইয়র্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ এবং জ্যেষ্ঠ সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারাকে হেনস্তার ঘটনায় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের একদিন পরই জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর তার জামিনের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হামিদ নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তির পর আনন্দ মিছিল বের করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যা অনুষ্ঠিত হয় জ্যাকসন হাইটস ও ব্রংক্সে। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সহসভাপতি আব্দুর রহিম বাদশা। এ সময় ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে মিজানকে অভিনন্দন জানান এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে এমন সাহসী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় হলেও বর্তমানে তিনি ব্রংক্সের ২০৫ স্ট্রিট বেডফোর্ড এলাকায় বসবাস করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সোমবার দুপুরে, যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ ডেলিগেশনের সদস্য হিসেবে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির, জামায়াত নেতা ডা. আবু তাহের, এনসিপি নেতা আখতার হোসেন এবং ডা. তাসনিম জারা নিউইয়র্কে পৌঁছান। জেএফকে বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় এবং তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করা হয়। ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতিও অপমানজনক মন্তব্য করেন তারা। হামলার আগে মিজান আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ভিডিও ধারণ করেন বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘটনার “উৎসব” করতে গিয়ে মিজানকে আবারও দেখা যায়। তার “হিরোইজম” প্রদর্শনের সময় স্থানীয় কেউ পুলিশে খবর দিলে তাকে আটক করা হয়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, “পলাতক নেত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ নোংরা মব তৈরি করেছে।” এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল ইসলামও ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।