মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, তার বাণিজ্যিক হুমকিই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে ভূমিকা রেখেছে।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তার বিতর্কিত শুল্কনীতি দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেছে। তার ভাষায়, ‘আমার শুল্কনীতি শুধু অর্থনৈতিক সাফল্যই আনেনি, এটি এখন বিশ্বশান্তির হাতিয়ার হিসেবেও কাজ করছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি আমার কাছে শুল্ক আরোপের ক্ষমতা না থাকত, তাহলে সাতটি সম্ভাব্য যুদ্ধের মধ্যে অন্তত চারটি এখনো চলত। ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের মুখোমুখি ছিল—আমি কিছু বলেছিলাম, যা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আমরা শুধু অর্থ আয় করিনি, বরং শান্তিও এনেছি।’
এর আগেও ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ একটি “পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে” পৌঁছেছিল। আগস্টে তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাণিজ্যিক হুমকি দিয়েছিলেন। তার ভাষায়, ‘আমি বলেছিলাম, তোমরা প্রায় পারমাণবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছ। চুক্তি না করলে এমন শুল্ক বসাব, যা তোমাদের মাথা ঘুরিয়ে দেবে।’
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, মোদির সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার আলোচনার পরই ভারত ও পাকিস্তান শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতা হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে।
প্রথমে পাকিস্তান ট্রাম্পের বক্তব্য অস্বীকার করলেও পরে তা আংশিকভাবে স্বীকার করে নেয় এবং ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করে।