আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। গত ডিসেম্বরেই দলটি ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নিয়মিত কর্মসূচির পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রমও পরিচালনা করছে।
এ কৌশলেই সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়েছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির। জাতীয় নির্বাচনে অবস্থান শক্ত করতে একই ধারা অব্যাহত রেখেছে দলটি।
তবে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে টাকা ছড়াচ্ছেন—এমন অভিযোগ উঠেছে। যদিও এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তার ভাষায়, ‘একটাও প্রমাণ নেই। টাকা ছড়াবে কেন? এগুলো অহেতুক অভিযোগ।’
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, যেমন উনারা বলেন যে ১৬টা ভিসি জামায়াত ইসলামীর। তো কে কে নাম-তালিকা ঘোষণা করুক। আমরা তো বলেছি যে ঠিক আছে, যদি যুক্তির জন্য ধরে নিলাম সত্যিই হয় তো ১৬টা, আর বাকি ভিসিরা কাদের? ওরাও তো একটা দলের। সেটা তো বলেন না।’
এরইমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাজাহান চৌধুরীসহ কয়েকজনকে দায়িত্ব থেকে সরানো হলেও, গোলাম পরওয়ার দাবি করেছেন—এটি কেবল সাংগঠনিক প্রয়োজনেই করা হয়েছে, অভিযোগের কারণে নয়।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যেসব খবর এসেছে, সেগুলো আসল কারণ নয়। কেন্দ্রীয় দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে নতুন ভারপ্রাপ্ত আমির নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর মানুষ তো কখনও ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়।
জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে দল ছাড় দেয় না। বিষয়টি জানার পরই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।