মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে গাজা যুদ্ধের অবসান ও ওই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) তিনি আরব ও মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে বসবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বৈঠকে সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের নেতারা অংশ নেবেন।
ইসরায়েলি ও আরব কূটনৈতিক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আলোচনায় গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কৌশল, আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় অংশীদার দেশগুলোর সেনা মোতায়েন, এবং গাজার পুনর্গঠন ও অর্থায়নের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।
পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) ভূমিকা রাখার কথা ভাবা হলেও ইসরায়েল এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। তবে এতে হামাসের কোনো ভূমিকা নেই।
ফক্স নিউজের খবরে আরও বলা হয়েছে, হামাস ট্রাম্পের উদ্দেশে একটি চিঠির খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে তারা অবশিষ্ট ৪৮ বন্দির অর্ধেক মুক্তির বিনিময়ে তার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনো হামাস বা কাতার কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ফ্রান্স ও সৌদি আরব সম্প্রতি বিশ্ব নেতাদের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছে। একই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানান। পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালসহ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়াচ্ছে।