ক্যালিফোর্নিয়ায় স্ত্রীর হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৫ বছর বয়সী জনাথন রেনটারিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, প্রসব-পরবর্তী ওজন নিয়ে দাম্পত্য কলহ থেকেই ঘটে যায় এই হত্যাকাণ্ড। মাত্র এক মাসের কন্যাশিশুকে রেখে অকালে প্রাণ হারালেন ৩৭ বছর বয়সী জুন বানিয়ান।
লস অ্যাঞ্জেলসে সংঘটিত এই মর্মান্তিক ঘটনায় রেনটারিয়া স্বীকার করেছেন, ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে স্কটল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন বানিয়ান।
পুলিশের তথ্যমতে, ১১ সেপ্টেম্বর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা খবর দেন। পরে অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে খণ্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়, যা বানিয়ানের বলে শনাক্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ৪ সেপ্টেম্বরই তাঁকে হত্যা করা হয়।
বানিয়ান ঘর ছাড়ার প্রস্তুতি নিলে রেনটারিয়া তাঁকে হত্যা করেন। এরপর রাতের আঁধারে নবজাতক কন্যাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিয়ে ফিরে এসে স্ত্রীর দেহ খণ্ডিত করেন।
পরে ভেনচুরা কাউন্টির একটি মোটেল থেকে আহত অবস্থায় রেনটারিয়াকে আটক করে পুলিশ। তাঁর হাতে আত্মহত্যার চেষ্টার চিহ্ন পাওয়া যায়। সেখান থেকেই একটি চিঠি উদ্ধার হয়, যেখানে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বানিয়ান দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার ছিলেন। স্বামী তাঁর চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং প্রায়ই ওজন নিয়ে অপমান করতেন। “সে প্রায় সব সময়ই শরীর নিয়ে খোঁটা দিত,” জানান প্রতিবেশী আরিয়েল মিলার।
বর্তমানে রেনটারিয়াকে চার মিলিয়ন ডলারের জামিনে আটক রাখা হয়েছে।