মার্কিন সরকার মেক্সিকোর অন্তত ৫০ জন রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে। রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুই মেক্সিকান কর্মকর্তা। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মাদক চোরাচালানকারী এবং তাদের সন্দেহভাজন রাজনৈতিক সহযোগীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও কিছু ভিসা বাতিলের খবর আগেও প্রকাশিত হয়েছে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার পদক্ষেপটি আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বিস্তৃত আকারে নেওয়া হয়েছে।
তিনজন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোও ভিসা বাতিলের মতো পদক্ষেপ নিয়েছিল, তবে এবার সংখ্যাটি আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাদের মতে, এটি ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্প প্রশাসন নীতিগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে কূটনৈতিক উপায়কে আরও দৃঢ়ভাবে কাজে লাগাতে চায়।
২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেক্সিকোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা টনি ওয়েন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকোর ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছে।” তার মতে, এ সিদ্ধান্ত মেক্সিকোর রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যে নীরব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে—যারা প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং এজন্য ভিসার ওপর নির্ভরশীল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী পদক্ষেপের একটি বড় সম্প্রসারণও বটে, কারণ এবার সক্রিয় রাজনীতিকরাই এর লক্ষ্যবস্তু—যা কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি পদক্ষেপ।
একজন প্রবীণ মেক্সিকান রাজনীতিবিদ সূত্র জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন মোরেনা দলের ৫০ জনেরও বেশি রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কয়েক ডজন কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলার জন্য সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছে।
রয়টার্স ভিসা বাতিল হওয়া মেক্সিকান কর্মকর্তাদের নাম নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন প্রকাশ্যে নিশ্চিত করেছেন, তারা তাদের ভিসা হারিয়েছেন। এদের মধ্যে বাজা ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের গভর্নর মারিনা দেল পিলার আভিলাও রয়েছেন। তবে তিনি মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে নিজের যোগসূত্র অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে কারও ভিসা বাতিল করার জন্য ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। নিষেধাজ্ঞা আরোপ, মামলা বা অন্য উপায়ে কাউকে চাপে ফেলার চেয়ে ভিসা বাতিল পদ্ধতি বেশি প্রয়োগ করে ওয়াশিংটন।